‘অধিনায়ক’ সাকিব আল হাসানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা জেমি সিডন্সের চোখের সামনেই। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেন্ট ভিনসেন্টে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই চোটে পড়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা সিরিজ থেকে ছিটকে পড়লেন। হঠাৎই অধিনায়ক হয়ে যান সহ–অধিনায়ক সাকিব। জেমি সিডন্স তখন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
২২ বছর বয়সী সাকিবকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কীর্তি দেখেছেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত সাকিবের প্রথম দফা অধিনায়কত্বের প্রায় পুরোটা সময়ই তো ছিলেন সিডন্স। অধিনায়ক সাকিবের ভালো–মন্দ তাঁর চেয়ে ভালো আর কে–ই বা জানেন! সেই সাকিব মাঝখানে বছরখানেক নেতৃত্ব দেওয়ার পর আবার টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়েছেন, জেমি সিডন্সও আছেন বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে, এবার ব্যাটিং কোচের ভূমিকায়। অধিনায়ক সাকিবের নতুন অধ্যায় নিয়ে কথা বলার জন্য জেমি সিডন্সের চেয়ে উপযুক্ত কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। তা কী বললেন তিনি?
সাকিব আবার অধিনায়ক হওয়ায় সিডন্স দুটি ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন। আজ মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের বললেন, ‘এখানে দুটি ইতিবাচক দিক আছে। সাকিব খুব ভালো অধিনায়ক। খেলা নিয়ে ভাবনার জায়গাটাতেও সাকিব খুবই ভালো। একই সঙ্গে সাকিব ধারাবাহিক পারফরমারও। যে কারণে সবাই তাঁকে অনুসরণ করেন। সে অধিনায়ক হিসেবে দারুণ কিছুই করবে।
সাকিবকে আবার নেতৃত্বে ফেরানোর মূল কারণ ‘অধিনায়কত্বের চাপে’ মুমিনুল হকের ব্যাটিং ভুলে যাওয়া। সেই সমস্যারও সমাধান হবে বলেই আশাবাদী সিডন্স, ‘আরেকটা ভালো দিক হচ্ছে, মুমিনুল এখন তাঁর ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে পারবে। সে কিছুদিন ধরে রান পাচ্ছিল না। এখন সে ব্যাটিংয়ে ১০০ ভাগ মনোযোগ দিতে পারবে। ওর পারফরম্যান্সটা আমাদের দরকার। আমরা সবাই জানি, সে ভালো ক্রিকেটার। সেই ক্রিকেটার ফিরে আসুক, এটাই চাই। অধিনায়কত্বের চাপ যেহেতু থাকছে না, আশা করি সে এখন সাচ্ছন্দে খেলতে পারবে।’