Connect with us

More

কোনো খাবারের প্রতি তীব্র আকর্ষণ কীভাবে কমাবেন

Published

on

7e0127ade9d8ee748ea53885a80b8122

ফুড ক্রেভিং হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার প্রতি তীব্র ইচ্ছা বা আকর্ষণ। এটি স্বাভাবিক ক্ষুধা বা রুচি থেকে আলাদা। সাধারণত চকলেট, মিষ্টি, ডেজার্ট-জাতীয় চিনিযুক্ত খাবার, কখনো নোনতা বা চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি তীব্র আকর্ষণ দেখা যায়।

লেপটিন ও সেরোটোনিনের মতো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ফুড ক্রেভিংয়ের জন্য দায়ী। তবে মানসিক চাপ ফুড ক্রেভিংয়ের সবচেয়ে বড় কারণ। মানসিক চাপে প্রচুর কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হয়, যা চর্বিযুক্ত ও নোনতা খাবারের পাশাপাশি চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দেয়। ক্ষুধা বা রুচিও বাড়ায় এই হরমোন। অনেকে আবার খাবার খাওয়ার পর চাপমুক্ত হন, তাই বারবার খেতে থাকেন।

পর্যাপ্ত ও সুষম উপায়ে না খেলে রক্তে শর্করা ওঠানামা করে, কখনো এমন একটি স্তরে নেমে যায় যে শর্করা বা চিনির ক্রেভিং হতে থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর না খেলে এটা বেশি হতে পারে। যাঁরা ডায়েট করেন, সুষম ডায়েট বেছে না নিলে প্রোটিন, চর্বি, বি ভিটামিন বা অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অভাব ঘটে তাঁদের। সে ক্ষেত্রে ফুড ক্রেভিং হয়।

হরমোনের পরিবর্তনের কারণে গর্ভাবস্থায় নির্দিষ্ট খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়।

● ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে, যা সুষম খাবার থেকে হতে হবে। কোনো পুষ্টি উপাদানই বাদ দেবেন না।

● দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না। অতিরিক্ত খিদে পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় এবং চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বাড়ে।

● ক্ষুধা ও তৃষ্ণা ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এক গ্লাস পানি পান করুন এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন, যাতে তৃষ্ণা চলে যায়।

● মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

● প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন কোমল পানীয়, আইসক্রিম, কেক, ক্যান্ডি ইত্যাদির বদলে উচ্চ ফাইবারযুক্ত কার্বোহাইড্রেট যেমন ফল, সবজি, বাদাম এবং কিশমিশ, ওটস ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিন। ডিম, দুধ, মুরগির মাংস বা ডাল দিয়ে প্রোটিন পূরণ করার চেষ্টা করুন।

Trending

Exit mobile version