Connect with us

More

জরায়ুমুখ ক্যানসারে সচেতনতা

Published

on

hush naidoo jade photography yo01Z 9HQAw unsplash

ক্যানসারের প্রাথমিক স্তরে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করা যায়। এ স্তরে জরায়ুমুখের অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের চিকিৎসা করা হয় ক্রায়োথেরাপির মাধ্যমে।

শরীরে কোথাও অবিন্যস্ত ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের কারণে কোনো কোষকলার অস্বাভাবিক বৃদ্ধিই হলো টিউমার। টিউমার দুই ধরনের—বিনাইন ও ম্যালিগন্যান্ট। বিনাইন টিউমার তেমন ক্ষতিকর না হলেও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হলো ক্যানসার। জরায়ুমুখে ক্যানসার নারীদের একটি পরিচিত সমস্যা। শুরুতেই শনাক্ত করা গেলে ও চিকিৎসা পেলে এটি থেকে সুস্থ থাকা সম্ভব।

১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে বা যৌনমিলন, একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌনমিলন, অপরিচ্ছন্ন যৌনাঙ্গ, যৌনাঙ্গের সংক্রামক রোগ, ২০ বছর বয়সের নিচে গর্ভধারণ ও মা হওয়া, ধূমপান ইত্যাদি জরায়ুমুখ ক্যানসারের অন্যতম কারণ। অনিয়মিত রক্তস্রাব, মাসিক বন্ধের এক বছর পর আবার রক্তস্রাব, যৌনসংগমের পর রক্তস্রাব, যোনিপথে অধিক পরিমাণ বাদামি বা রক্তমাখা স্রাবের আধিক্য ও দুর্গন্ধযুক্ত সাদা স্রাব হলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। তবে এসব লক্ষণের কোনোটিই ক্যানসার নিশ্চিতকরণের চিহ্ন নয়। তবে এসব গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ দেখে পরীক্ষা–নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে যে রোগটা কোন ধরনের, কোন অবস্থায় রয়েছে।

ক্যানসারের প্রাথমিক স্তরে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করা যায়। এ স্তরে জরায়ুমুখের অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের চিকিৎসা করা হয় ক্রায়োথেরাপির মাধ্যমে। এ সময় প্রচণ্ড ঠান্ডা প্রয়োগ করে আক্রান্ত কোষকলা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। বৈদ্যুতিক প্রবাহের মাধ্যমেও প্রচণ্ড উত্তাপ সৃষ্টি করে আক্রান্ত কোষকলা ধ্বংস করা যায়। ক্যানসার যখন উৎপত্তিস্থলে সীমাবদ্ধ থাকে, তখন শল্যচিকিৎসাকেই বেছে নেন অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এ চিকিৎসায় রোগীর সম্পূর্ণ জরায়ু অপসারণ করা হয়। কখনো কখনো যোনিপথের ওপরের অংশ, কাছের কোষকলা ও লসিকাগ্রন্থি অপসারণ করা হয়, যাতে ক্যানসারে আক্রান্ত কোষ ছড়িয়ে না পড়ে।

রেডিয়েশন থেরাপি চিকিৎসার মূল ভিত্তি হলো, বিকিরণের মাধ্যমে ক্যানসারে আক্রান্ত কোষের ধ্বংস করা। টিউমারের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে বা ব্যথা কমানোর জন্য এটা প্রয়োগ করা হয়। যখন ক্যানসার আক্রান্ত সব কোষ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা যায় না, তখন এটা হয়। বিবাহিত জীবন বা যৌনজীবনে প্রবেশ করা প্রত্যেক নারীকে অবশ্যই প্রতি তিন বছরে একবার কিছু পরীক্ষা করাতে হয়। ক্যানসারের উপসর্গগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Trending

Exit mobile version